রবিবার, ২১ জুলাই, ২০১৩

অব্যক্ত অভিব্যক্তি

-মামা চা খাবেন

সূর্য স্নানের কল্যাণে অবস্থা এমনিতেই নাজেহাল অবস্থা,তার উপর চা।

না খাব না 

-মামা খান, দাক্তার আফায় কইছে, গরমে চা খাইলে শইল ঠাণ্ডা হয়।

কি নাম তোর...?

-বল্টু 

বল্টু নামটার অনির অনেক চেনা। শৈশবের স্মৃতি বলতে এই নামটাই মনে আছে। 
বস্তির এক দাদি তার এই নাম দিয়েছিল। একদিন দাদীর জ্বর হল, তারপর চলে 
গেলেন না ফেরার দেশে। তারপর কিভাবে জানি এক এতিম খানায় জায়গা হয়।
সেখানে আব্দুস সাত্তার স্যার ধর্ম ক্লাস নিতেন, তিনি বললেন বল্টু কোন নাম হল।,
আজ থেকে তোর নাম আব্দুল মতিন। কোন এক নিঃসন্তান দম্পতির ঘর আলো 
করে এতিম খানাকে বিদায় বলা হয়, খুব সম্ভবত তখন ৩য় শ্রেণীতে পরত মতিন।
ব্যাপারগুলো আবছা মনে পরে। বিশাল অট্টালিকা এসে মতিনের নাম শেষ বারের
মত পরিবর্তন হয়। ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ নাম, অনিকেত চৌধুরী। 

অতীতের এ বিষয়গুলোর কোনটাই তনুজা জানে না। তাকে কথাগুলো বলা দরকার
কারন ওর সাথে অনির বিয়ের কথা চলছে। অনি যদিও জানেনা তনু বিষয়টা কিভাবে
নেবে, তারপরও আজ সে তার মনের কথাটা বলবে। তবে বেশীর ভাগ মনের কথাই
গোপন কথা হয় আর গোপন কথা নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করে। 

বল্টু একটু দূরে এক যুগলকে চা খাওয়ার উপকারিতা বলছে, চা খাওয়ার
ফাঁকে একটু মুচকি হাসি, হবে হয়তো কোন হাস্যকর গোপন কথা।  

মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০১৩

ঘোর

হিম শীতল অ্যালকোহলের গ্লাসে
জমে থাকা বিষাদের আমরণ অনশন।

আলো-আঁধারের ঘোর চক্রান্ত, নেশার
মাত্রা বাড়িয়ে দেয় নিজের অজান্তেই।

প্রতিটা চুমুকে শরীরের আদ্যোপান্ত
উষ্ণ অনুভূতির গোল্লাছুট খেলা।

মাতাল অনুভূতি সঙ্গি করে ভাসমান
রাজপথে অনর্থক মৌন মিছিল।

অতঃপর, চির চেনা পথের অচেনা মোড়,
নৈশ প্রহরীর হুঁশিয়ার সংকেত, অবচেতন
মনে গুন গুন, হারিয়ে যাওয়া কোন গান।

ফেরা

তুই থাকলে হয়তো ভাল থাকা না থাকার
এই দর কষাকষি করতে হত না।
উদাস দুপুর, নিঃসঙ্গ বেলকনি সবকিছুর
ইতি টেনে পারি জমাতাম স্বপ্ন রাজ্যে।
সময়ের ফেরে তুই অন্তরের ভেতর সাদা গ্লাডিওলাস
আমি চাতকের ফুটিক জল আওরানো ক্যাঁকটাস