রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৪

যাদুর শহর ২

যদিও শহরটার কাছে দিন-রাত শুধুই সময়ের
ব্যাবধান, তবুও রাতের পৃথিবীটা মনে হয় একটু
বেশীই জমকালো। ক্যামন জানি অন্ধকার-আলো
আবার অন্ধকার ,যেন ঘুমের ঘোরে থাকা নির্ঘুম চোখ

তার সাথে ঘড়ির বিপরীতে ঘুরতে থাকা রাতজাগা
পথিকের ভবঘুরে মন, একটা নেড়ি কুকুরের নির্লজ্জ
চাহুনি, ভাসমান বেশ্যার অকারন আদিক্ষেতা আর
শহরজোরা কিছু ঘুমন্ত মানুষ
feeling ঘুম.

বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৪

কাঠপেন্সিল

ক্ষয়ে যাওয়া কাঠপেন্সিলের অলস সময় কাটতেই চায়
না, স্বপ্নে প্রায়ই সৃষ্টি সুখের উল্লাসে তৃপ্তটা আসে তার।
ধব-ধবে সাদা ক্যানভাসে সে আর তার কারুকাজ।

হতাশার সুতোয় কাটাপরা আশার ঘুড়িটার পানে বৃদ্ধ
মজনু মিয়ার শূন্য দৃষ্টি, নিস্প্রান শরীরের সমস্ত শক্তি
দিয়ে প্যাডেলে বেঁচে থাকার তাগিদ দেয় সে। বয়সের
ভারে নূজ্জ্ব রিক্সাটাও কিঞ্চিত কুকিয়ে ওঠে।

সুখের খোঁজ

এখনো স্পষ্ট সেই রাতটা, স্টেনগান হাতে আদরের একমাত্র
সন্তান দেশের জন্য ছুটে যায়, একটা স্বাধীন দেশের মানচিত্র
নিয়ে তবেই ফিরবে......, এমনটাই কথা ছিল

তারপর চুয়াল্লিশ বছর অপেক্ষা... দেশ মুক্ত হয়, ফয়েজ
মিয়াঁর মুক্তি মেলে না। এখন লাল-সবুজের পতাকা ফেরি
করে দিন কাটে আর সময় পেলে..., ছেলে ফিরে আসার
কল্পনায় ডুবে থাকেন

১৪৪ ধারা

তবে তাই হোক...
সময়ের প্রয়জনে এ পৃথিবীটা যদি ছোট লাগে
চলে যেতে পারো তোমার বর্ণোজ্জ্বল ভুবনে
সেথা যেতে কোন বাধা নেই

তবে তাই হোক...
দূরত্বের অতিকায় দেয়াল, আকাশের কপাল চুমে
দিক, আর সেটা টপকে ফিরে আসার পরিকল্পনা
ছিলগালা করা হোক

তবে তাই হোক বালিকা
জানালার কার্নিশে লক্ষ্মী প্যাঁচার ডাকের ওপর
১৪৪ ধারা জারি থাক সবসময়ের জন্য

স্ট্রীট লাম্প

তারপর..., তারপর শেষ রাত আসে
নেশাতুর ঘুম ঘুম চোখে দূরের রেড সিগন্যাল
ঝাপসা হয়ে যায়

দূরপাল্লার বাসের কর্কশ চিৎকারে নিশ্চুপ
পথের নিরবতায় চির ধরে

স্ট্রীট লাম্পের হলদে আলোয় একটা বকুল
গাছের ভোরের জন্য অপেক্ষা

আর একা একলা একটা তারার আপন মনে
গুন গুনিয়ে গান গাওয়া

ঘুম ঘর

তোমার আর্তনাদের চাপা সূরে, কাঁচপোকাদের
কোলাহল থেমে যাবে না, ভাঙ্গবে না অপরান্নের
ভাত ঘুম।

কিন্তু আমার মন....,, তোমার কথা উঠলেই
কেমন জানি বেসামাল হয়ে পরে। তাই তোমায়
একটা অনুরোধ, যে তোমায় ছোঁয়া যায় না...সে
তুমি এসো না আমার ঘুম ঘরে

বালিকা

Dear বালিকা,
যে পাখির কলরবে ভোর হয়
সে কলরবেই সন্ধ্যা নামে...,নামে অন্ধকার

বউমনি ৩য়

প্রিয় বউমনি,

সয়ে যাওয়া হৃদয়টা, মাঝে মাঝেই
ক্যামন জানি মোচড় দেয় আজকাল

স্বচ্ছ জলে এক ফোঁটা নীল যত দ্রুত
রং ছড়ায়, ঘুণপোকা ধরা স্মৃতিরা সম
দ্রুততার সাথে তাদের স্পষ্টতা জানান দেয়

পুনশ্চ

একটা উজ্জ্বল নক্ষত্র আচমকাই জ্বলে ওঠে
অতঃপর কোন পূর্বাভাষ ছাড়াই হারায়ে যায়

পুনশ্চঃ সবে তো পথের শুরু, একটু ধীরে বন্ধু

যাদুকর

একদিন হ্যামিলিনের প্রয়োজন ফুরিয়ে আসবে
যাদুকরের

কালো কুচকুচে বাঁশীর
মায়াবী সূরে নাচবে না হবে শহরের নর্তকীরা
মাঝ রাতের শূন্যতা চিরে অভিমানি বাশীওয়ালা
হারিয়ে যাবে দূরের কোন নগরীর উদ্দেশে...
বোকা হ্যামিলিনের শহর নিরব হবে আবার
অনির্দিষ্ট কালের জন্য

শূন্যতা

Dear প্রকৃতি,
শূন্যতা তোমার ভীষণ অপছন্দ।
জানো তো, আমার মনটা খালি
পরে আছে অনেক দিন

বউমনি

কোন এক অপরিবর্তিত অবস্থানে থেকেও
তোমার স্পর্শের লোভে তেঁতে ওঠে অনুভূতিগুলো,
চূড়ান্ত কোন শিহরণে পুলকিত হতে চায় বার বার,
অসীম শূন্যতায় হাতড়ে বেড়ায় তোমার অস্তিত্ব..,
তোমার গন্ধ.., তোমার শরীর আর তোমাকে

রকেটের নিউরন

প্লাস্টিক ব্যাগে লেগে থাকা আঠালো বস্তুটার গন্ধ
রকেটের নিউরন সেলগুলোকে নিস্তেজ করে দেয়।
ক্ষণিকের জন্য হলেও জাগতিক আপেক্ষিকতার
বাইরে চলে যায় সে, ধুলো মাখা ফুটপাথ চওড়া
থেকে আরও চওড়া হয়, ক্যামন নির্ভার লাগে
নিজেকে।

রকেট জানে, এ গন্ধটার মাঝেই হারিয়ে যাবে সে,
একদিন আর ঘুম ভাঙবে না, দীর্ঘক্ষণ পরে থাকা
তার নিথর দেহটার, বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে ঠাই
হবে নিশ্চুপ হিম ঘরে।