বুধবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৫

প্রশ্ন ...??

বলতো কেন আকাশটা কালো হয়
কোন ঝড়ে ওলট- পালট হয় সবকিছু
জানিস সন্ধ্যে বেলা ঈশান কোনের
একটা তারা অভিমান করে হারিয়ে যায়
বলতো কিসের এত  অভিমান ওর

বলতো কিসের টানে মানুষ আপন পর হয়
কেন পাল্টে যায় চেনা মুখগুলো, বলতে পারিস,
এত নিয়নের ভীরে কেন একা হয় জোনাকি...?

বলনা,  কোন গঙ্গা ফড়িঙ্গের পিছে হারিয়ে গেল আমার
শৈশব, কেন পাড়ার ডানপিটে ছেলেটা হঠাৎ এত শান্ত
হয়ে গেল, কোন নিয়নের সুরে ম্লান হল ওর সবকিছু




বুধবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৫

সঙ্গোপন

বৃষ্টির মাঝে ভিজছি, ভিজছে আমার চোখ্‌...
তোমার আমার ভালবাসার হচ্ছে যোগ-বিয়োগ
বিষাদের জোরে সাদাকালো হয়ে যায় রঙ্গিন ভাবনাগুলো
ভেঙ্গে খান খান স্বপ্নের খেলা ঘর, শুধু প্রানহীন ধুলো

চলে যাও, দূরে যাও, ভালোবাসা নিয়ে যাও
চলে যাও, দিয়ে দাও, আমার স্মৃতিগুলো্‌...

ব্যাস্ত শহর, ট্র্যাফিক সিগন্যাল, পাল্টে যাওয়ার পানে
আনমনা মন আটকে থাকে, কোন এক পিছু টানে।
মলিন হাওয়া, পুরোনো স্মৃতি হয়তো ক্ষণে ক্ষণে
তবু তোমায় বাসবো ভালো গভীর সঙ্গোপনে

কাঁচ পোকার গান শেষে, অবাক আবেশে,
আমার আঁকা জলপরী অন্য কোথাও ভাসে।
রাত প্রহরীর চোখের ফাঁকি, তোমার আশে পাশে
কাঠ গোলাপের শুভ্র মায়া তোমায় ভালবেসে।

চলে যাও, দূরে যাও, ভালোবাসা নিয়ে যাও
চলে যাও, দিয়ে দাও, আমার স্মৃতিগুলো...


মঙ্গলবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৫

হিলিয়াম

এইতো এভাবেই একদিন দুম করে
ধর্মঘট ডেকে বসবে দেহঘড়ি
হঠাৎ শেষ হওয়া উপন্যাসের...,
শেষ না হওয়া কথার মত কত কথা
শুয়ো পোকার শীত নিদ্রায় যাবে
জীবন...হিলিয়ামের মত মিলিয়ে যাবে উত্তরী পবনে
Dear স্রষ্টা,
যা আমার নয়, এই সংক্ষিপ্ত জীবনে
তার আসা এবং চলে যাওয়া কি এতটাই আবশ্যিক

একা 2

উত্তরের সমীরণ মন চিরে বেরিয়ে গেলেও বুঝবি না
বালক আয়ু রেখা ধরে কতটা পথ হেঁটে গ্যাছে তোর খোঁজে
কালো সানগ্লাসের চত্তরে দিনের আলো এসে থেমে যায়,
তাতে স্বস্তি আসে তবে সুখ আসে না
Dear বালিকা,
অতঃপর সেই পাগল ছেলেটা হারিয়ে যায়
তোকে একা করে...., ভীষণ একা করে

অজান্তেই

না, ষোল আনাই মিছে নয় 
বিচ্ছেদের আড়ালে, আনাড়ি এই অভিনেতা 
চিনে গ্যাছে জীবনের কানা গলি তোমার অজান্তেই

তুই

শিরায় শিরায় তোর অনুপুস্থিতির
বিপরীতে নিকোটিনের দৌরাত্তে
কখনো আমি জয়ী, কখনো তুই

দৃশ্যপট

না, নতুন কোন দৃশ্যপট ন্য়
প্রনয়ের ইতি টানা গল্পে নতুন 
কোন স্বপ্নের মোড় আসে না 
নতুন করে যা হয় সেটা পুরোনো
মানুষটার সাদৃশ্যতা খুঁজে ফেরার পৌনঃপুনিকতা

মন ফড়িং অপেক্ষা

সুখ খুঁজে বেড়াস অন্য শরীরে 
মন ফড়িং অপেক্ষায় মারা পরে 
পুরু কাঁচের নিচে চাপা পরে 
কষ্টের ব্যাবচ্ছেদ, ছুতে চাস না, 
একটু ভেবে দেখ হয়ত ছুয়ে দিলেই
কাঠগোলাপ ফুটতো তোর কারনে

চতুস্কোন

গনিকার নির্বাক চাহুনি চকচকে কাগজে মোড়ানো 
মেকি আশ্বাসে মিলিয়ে যায় মিশমিশে আধাঁরে।
দিনের আলোয় সবটা মুছে যায় কারনে বা অকারনে,
অজান্তেই ভুলে যাওয়া দশম শ্রেনীর জ্যামিতিক চতুস্কোন উপপাদ্যের মত

রাত প্রহরীর

Dear বালিকা, 
রাত প্রহরীর চোখ ফাঁকি দিয়ে 
একটা ছেলে আর আসবে না 
তোর সঙ্গি হতে..

পয়ঁত্রিশ মি:মি:

ফাগুন হাওয়া অবাধ্য হলে হোক
তাতে বালকের কি.. 
ফিকে পৃথিবীর নিয়ন আলো পয়ঁত্রিশ মি:মি: 
সাদা কলো ফ্রেম ছাড়া কিছু নয়

সুখ ঘুম ১

মিথ্যে হয়ে গ্যাছে দেয়া কথা 
জানি তোর ব্যাস্ত শহরে ফুরসত
পেলেই ভোর আযানে এপিক
স্মৃতিরা আলো হয়ে ফোটে 
বিশ্বাস কর পরে থাকা শেফালীকা 
আঙ্গুল ছোঁয়ার শেষ চাওয়ায় সমঝোতা
চায় না, ওরা বুকের ভাঁজে সুখ ঘুম খোঁজে

রানওয়ে

দিন শেষে সাধ ও সাধ্যের মাঝে
একা একজন 
সাধগুলো একটু একটু করে জমা
হয় বুক পকেটে
সাধ্যেরা উড়ে যায় রানওয়ে ছেড়ে
বহুদুরে বিপরীতে

মুখো মুখি

পৃথিবীটা গোল, মুখো মুখি হতেই পারি
সে লোভটা সামলে নিয়ে চলে গেলাম

বাধ্য মেয়ে

সাইকেল প্যাডেলে ভর করে স্কুল পলাতক
ছেলেটার সবকিছু তোর জন্য
মাধ্যমিকের বাধ্য মেয়েটা বুঝেও অবুঝ
ভাব, ভীষণ খুশী অন্তরে
তুমি ও তোমাদের ভালবাসার গল্পগুলো বেঁচে থাক
সব সময়ের জন্য

সংযোজন

এমন কত দুঃখই তো রাত কুরে খায় 
হলে না হয় একটা নতুন সংযোজন

একা...

Dear বালিকা,
ফিরে দেখ, পিছু নেয়া ফাগুন হাওয়া 
তোমায় ছেড়ে গ্যাছে কিছু না বলেই
বিলবোর্ডের পরিপাটি তরুণীর 
মাঝ রাতের মত তুমিও ভীষন
একা...

প্রতিজ্ঞা

কথা দিলাম, 
ভোরের আলো ঘরে ফেরার আগেই 
থেমে যাবে তোর আমার আত্মকথন। 
চৌরাশিয়ার সুর আঁকবে না কাজল তোর
চোখের কোণে, 
তুই সুখ খুঁজে নিস বদ্ধ ঘরে

পার্ক স্ট্রিট

Dear বালিকা, 
ততক্ষণে মেট্রোর থার্ড রেল পার্ক স্ট্রিট
ছেড়ে ছক কষা গন্তব্য পথের পথিক
শেষ প্রতীক্ষার সাথে দেখা হবে নিশ্চয়... 
তোমার স্মিত হাসিটাকে ওর সঙ্গি করে দিও

হাওয়া বদল

তুই জানতিস
একদিন হাওয়া বদলে পাল্টে যাবে
মন শহরের পথঘাট
আমার পরিবর্তনের খবরটা পেলাম
স্রস্টার উদ্দেশ্য যদি তার সামনে শির অবনত হয়, আমি উদ্দেশ্যহীন হই কিভাবে

তুমি ও সে

Dear ময়নাপাখি, 
তুমি এখন অনেক পেছনের গল্প
জানতো, পুরোনো খবরের কাগজে
ঝাল চানাচুর বিকয়, গরম খবর না

স্বপ্ন

বালিকার আত্মকেন্দ্রিক ভালোবাসা পাঁচতারা
রেস্তোরাঁর বায়স্কোপ। 
আমিও স্বপ্ন দেখি লোকাল বাসের ঘামের গন্ধে, 
ট্র্যাফিক সিগন্যালে।

বালক ও রঙ

ওহে অবুঝ বালক, 
যার জন্য এত রঙিন ছবির
আকিবুকি সারা বেলা
সে রং বোঝে তো..??

এই যে তুমি

এই যে আমার প্রতীক্ষার মুহূর্তগুলোকে মিথ্যে
করে দিয়ে চুপ চাপ তুমি, সেই তোমাকেই বলি, 
সম্ভাবনাগুলো হিলিয়ামের মতন, একবার হাত
ছারা হলে আর পিছু ফেরে না... 
আর হ্যাঁ, ফাগুন হাওয়া প্রেমিক হলে শ্রাবণের টা অবাধ্য

মা

অতঃপর কর্ম ব্যাস্ত দিন শেষে 
ক্লান্ত যুবার ঘরে ফেরার যাত্রা
মাঝ পথে ডাল সম্ভারের সুবাস,
মায়ের কথা মনে পরে যাওয়া 
লোকাল বাসের ভীরে মিলিয়ে 
যাওয়া আপন অস্তিত্বের খোঁজ

ধ্রুবক

না, আর কোন পথ ওর অপেক্ষায় থাকবে না,
প্রতিক্ষারা ঘুমিয়ে যাবে ভিখেরি থালের টুং টাং শব্দে।
হয়তো সোনালী ডানার চিল ঘরে ফিরে গেলে, একা ছেলেটা
তিন রাস্তার লাল হলুদ সিগন্যালের সাথে গল্প জুড়ে দেবে, 
যে গল্পে ও ধ্রুবক..আর পাশ কাটিয়ে যাওয়া শহরটা চলমান 

সুখ ঘুম

ঝাপসা হয়ে যাও বলেই হয়তো 
এত টান, ফিরে পাওয়ার আকুলতা 
একসাথে ঝুম বৃষ্টি স্বপ্ন বলেই হয়তো
শেষ রাত্তিরের সুখ ঘুম