বুধবার, ১৫ মে, ২০১৩

জলছাপ



উপন্যাসের পাতা শেষ হয়, ঘটনার ঘনঘটা চলতে থাকে। “জলছাপ” নামক
এমনি এক লেখার শুরু এক কিশোর ও ঈশিতাকে ঘিরে। না, আর দশটা মেয়ের
মত ঈশিতার দেয়ার মত তেমন কোন পরিচয় নেই, পতিতাদের দেবার মত কোন
পরিচয় থাকে না। লেখাটার শেষ অংশটুকু.........

হয়তো ঈশিতা ভুলেই গিয়েছিল, তার আকাশটা শুধুই মেঘ করতে পারে, সেই মেঘ ঝরে সিক্ততা পাওয়ার আকাঙ্খা; শুধুই চাওয়া, যা বাস্তবতা থেকে দূরে,বহু দূরে উড়ে বেড়ায়, যা কখনই ধরা দেবার নয়।

রাত ফুরালে ক্লান্ত ঈশিতার শরীর জুড়ে নেমে আসে অন্তহীন নিস্তব্ধতা আর দু’চোখে অবসাদ। ফেরার পথে যেখানটায় দেখা হবার কথা ছিল অভির সাথে, কিছুক্ষন দাড়ায় সেখানে। ব্যাপারটাকে পুরনো স্মৃতিটার মাথায় হাত বুলিয়ে সেটাকে জিইয়ে রাখার একতা প্রচেষ্টা বলা চলে।

রাস্তা জুড়ে অগণিত মানুষ, কেউ হাসছে, কেউ কথা বলছে, কেউ ব্যাস্ততার বোঝা নিয়ে ছুটছে তো ছুটছেই। গোঁফওয়ালা ট্র্যাফিকটার মেজাজ আজ একটু বেশিই চড়া। প্রাণহীন শহরে বেঁচে থাকার দর কষাকষি, আসলেই কি এত সুখ, নাকি জলছাপের আড়ালে ঘর পালানো কষ্টগুলোর ঘুমিয়ে থাকার পাঁয়তারা।

ঈশিতা পথ চলতে শুরু করে, কিছু দীর্ঘশ্বাস আর নাগরিক বাস্ততাকে পিছু ফেলে...।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন