শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

জলছাপ

গতানুগতিকতার বাইরে কোন কিছু   দীর্ঘ দিন ধরে চললে, 
এক সময় সেটাই স্বাভাবিকতা হিসেবে গণ্য হয়। সমস্যাটা হয় 
যখন সেই স্বাভাবিকতাটা আবার ফিরে আসতে চায় 

ঈশিতা 

ক্যাঁচ ক্যাঁচ শব্দটা ঘোরটার চারদিকে চক্কর দিয়ে মিলিয়ে যায়, দরজা ঠেলে মাঝ বয়সী একজন মহিলা ঘরে ঢোকে। কাঁচা হলুদ শাড়ি পরিহিত, ঠোঁট টকটকে লাল। আয়েশি ভঙ্গিতে পান 
চিবুচ্ছেন, এ ভঙ্গিতে দীর্ঘদিনের অভ্যস্ততার ছাপ। একদম গা ঘেঁষে বসলেন, অভির বেশ অস্বস্তি
লাগতে শুরু করল
কি নাম তোমার...??
অভি 
বড়ই সুন্দর নাম 
আপনার নাম কি? 
আমার নাম বালা, কানন বালা 
বলেই মহিলা হাঁসতে শুরু করল, হাসির কোন কারণ বোঝা গেল না। একটু দম নিয়ে আবার হাসি
শুরু হল। মহিলার শরীর থেকে চাপা ঘামের গন্ধ আসছে। হঠাৎ হাসি থেমে গেল, কিছুক্ষণ তাকিয়ে
হুট করে অভিকে জড়িয়ে ধরল,অপ্রস্তুত অবস্থা থেকে নিজেকে ছাড়ানোর জন্য বাস্ত হয়ে উঠল অভি 
ছাড়ুন আমাকে, প্লিজ...
কেন খোকা, এমন করছ কেন
মহিলাকে চৌকির উপর ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বেড়িরে আসতে উদ্যত হয় অভি
মহিলাঃ কি কাজ করবা না 
অভিঃ না 
মহিলাঃ তাহলে বকশিস দাও 
অভিঃ কেন
মহিলাঃ এখানে আসলে বকশিস দিতে হয়

রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৪

বউমনি ৬

দৃশ্যত সাবলীল, তবে প্রকৃত প্রস্তাবে কতটা 
সুখী, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রেখেই বলছি...
আসছে গ্রীষ্মের প্রতিটা কাঠ গোলাপ ফুটুক তোমার জন্য 

দেনা পাওনা

যদি শহরের সব ষ্ট্রীট লাইট হঠাৎ ফিকে হয়ে যায় 
একটা জ্যোৎস্না রাতের আবদার পাওনা থাকবে 
কোন এক পৌষের রাতে নিঝুম পাইন বনে চাঁদ এলে
আমি রই বা না রই তোমার পাওনা বুঝে নিও

ধূপ ছায়া

বাতাসের কাছে বিকে যাওয়া ধূপ কাঠির গন্ধ
শহরের শিরায় শিরায় মিলিয়ে যায় 
চাঁদের নীলাভ আলো, একটা ঘাস ফড়িং আর
তিন রাস্তার মোড় সে গন্ধে কি যেন খোঁজে

পৃথিবীর সমস্ত সুখ আরাম কেদারায় দোল খায়
ধূপ কাঠি আর তার কষ্টগুলো ধীর পায়ে হারায়

সোমবার, ৩০ জুন, ২০১৪

মন


মনের অজান্তে কখন যে রাজ প্রাসাদটা গড়ে উঠেসে মনে, বুঝতেই পারিনি।

তবে যখন বুঝলাম, আমার আমি তখন বিশাল মনে কোণ ঠাঁসা।

চিন্তাগুলো তোমার প্রজা, মনের রাজ্যে শুধু তোমারই জো জয়জয়কার।

আর আমি ঘোড়ায় সাওয়ার হয়ে ছুটছি,  ছুটছি তোমার পানে, তোমার মন জয় করবো বলে।






বুধবার, ২৫ জুন, ২০১৪

যাদুর শহর ১

আঁধার কেটে গেলে আবার একটা ভোর আসে
আলোর রোশনাইয়ে শুরু হয় নাগরিক ব্যাস্ততা
সময়ের সাথে ছুটে চলা মানুষগুলোর গতিপথ
কখনো সমান্তরাল কখনােবা কোন কারন ছাড়াই শ্লথ
এ শহরে স্বপ্নের বিপরীতে স্বপ্নের রথ বদল হয় সঙ্গত 
কারনেই...অদ্ভুত এক যাদুর শহর 


বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০১৪

সত্ত্বা ও স্বপ্ন

কোন এক আলো ঝলমলে রাতে ছা পোষা স্বপ্নগুলো
লিমোজিন কিংবা লেক্সাসে বাইপাস হাকিয়ে তোমার
রাজপ্রাসাদে হাজির হবে,গণ্যমান্য বাক্তি-বর্গের উষ্ণ
অভ্যর্থনায় আমি নির্বাক, উচ্চবর্গীয় আলাপচারিতার
অন্তরালে হারিয়ে যাবো আমার আমি,

ভীষণ তেষ্টায় ঘুম ভেঙ্গে যাবে, বাসায় পানি নেই...
অগত্যা কাজলের টং দোকান ও এক গ্লাস পানি
তারপর একটা সিগারেট সাথে গন্তব্যহীন রিক্সা
ভ্রমণ,স্বপ্নের সাথে বউন্ডুলে বাস্তবতার অমীমাংসিত
ফলাফল ও ফলস্বরূপ মুখে মুচকি হাসি আনাগোনা
এবং রিক্সা ওয়লার এ হাসির রহস্য ভেদের চেষ্টা

কানন বালা ২য়

স্ট্রীট লাইটগুলোর ঝলমলে আলো ফিকে
হয়ে যায় একদল গণিকার মিথ্যে প্রনয়ে,
লিপিস্টিকের পুরু আস্তরনে ঢাকা ঠোঁটের
আহ্বানে, কামার্ত যুবার ক্লান্ত পেশী ফুঁসে
ওঠে, শুরু হয় দর কষাকষি, পেটের ক্ষুধার
বিপরীতে শরীরের ক্ষুধা নিবারণের পায়তারা

রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৪

যাদুর শহর ২

যদিও শহরটার কাছে দিন-রাত শুধুই সময়ের
ব্যাবধান, তবুও রাতের পৃথিবীটা মনে হয় একটু
বেশীই জমকালো। ক্যামন জানি অন্ধকার-আলো
আবার অন্ধকার ,যেন ঘুমের ঘোরে থাকা নির্ঘুম চোখ

তার সাথে ঘড়ির বিপরীতে ঘুরতে থাকা রাতজাগা
পথিকের ভবঘুরে মন, একটা নেড়ি কুকুরের নির্লজ্জ
চাহুনি, ভাসমান বেশ্যার অকারন আদিক্ষেতা আর
শহরজোরা কিছু ঘুমন্ত মানুষ
feeling ঘুম.

বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৪

কাঠপেন্সিল

ক্ষয়ে যাওয়া কাঠপেন্সিলের অলস সময় কাটতেই চায়
না, স্বপ্নে প্রায়ই সৃষ্টি সুখের উল্লাসে তৃপ্তটা আসে তার।
ধব-ধবে সাদা ক্যানভাসে সে আর তার কারুকাজ।

হতাশার সুতোয় কাটাপরা আশার ঘুড়িটার পানে বৃদ্ধ
মজনু মিয়ার শূন্য দৃষ্টি, নিস্প্রান শরীরের সমস্ত শক্তি
দিয়ে প্যাডেলে বেঁচে থাকার তাগিদ দেয় সে। বয়সের
ভারে নূজ্জ্ব রিক্সাটাও কিঞ্চিত কুকিয়ে ওঠে।

সুখের খোঁজ

এখনো স্পষ্ট সেই রাতটা, স্টেনগান হাতে আদরের একমাত্র
সন্তান দেশের জন্য ছুটে যায়, একটা স্বাধীন দেশের মানচিত্র
নিয়ে তবেই ফিরবে......, এমনটাই কথা ছিল

তারপর চুয়াল্লিশ বছর অপেক্ষা... দেশ মুক্ত হয়, ফয়েজ
মিয়াঁর মুক্তি মেলে না। এখন লাল-সবুজের পতাকা ফেরি
করে দিন কাটে আর সময় পেলে..., ছেলে ফিরে আসার
কল্পনায় ডুবে থাকেন

১৪৪ ধারা

তবে তাই হোক...
সময়ের প্রয়জনে এ পৃথিবীটা যদি ছোট লাগে
চলে যেতে পারো তোমার বর্ণোজ্জ্বল ভুবনে
সেথা যেতে কোন বাধা নেই

তবে তাই হোক...
দূরত্বের অতিকায় দেয়াল, আকাশের কপাল চুমে
দিক, আর সেটা টপকে ফিরে আসার পরিকল্পনা
ছিলগালা করা হোক

তবে তাই হোক বালিকা
জানালার কার্নিশে লক্ষ্মী প্যাঁচার ডাকের ওপর
১৪৪ ধারা জারি থাক সবসময়ের জন্য

স্ট্রীট লাম্প

তারপর..., তারপর শেষ রাত আসে
নেশাতুর ঘুম ঘুম চোখে দূরের রেড সিগন্যাল
ঝাপসা হয়ে যায়

দূরপাল্লার বাসের কর্কশ চিৎকারে নিশ্চুপ
পথের নিরবতায় চির ধরে

স্ট্রীট লাম্পের হলদে আলোয় একটা বকুল
গাছের ভোরের জন্য অপেক্ষা

আর একা একলা একটা তারার আপন মনে
গুন গুনিয়ে গান গাওয়া

ঘুম ঘর

তোমার আর্তনাদের চাপা সূরে, কাঁচপোকাদের
কোলাহল থেমে যাবে না, ভাঙ্গবে না অপরান্নের
ভাত ঘুম।

কিন্তু আমার মন....,, তোমার কথা উঠলেই
কেমন জানি বেসামাল হয়ে পরে। তাই তোমায়
একটা অনুরোধ, যে তোমায় ছোঁয়া যায় না...সে
তুমি এসো না আমার ঘুম ঘরে

বালিকা

Dear বালিকা,
যে পাখির কলরবে ভোর হয়
সে কলরবেই সন্ধ্যা নামে...,নামে অন্ধকার

বউমনি ৩য়

প্রিয় বউমনি,

সয়ে যাওয়া হৃদয়টা, মাঝে মাঝেই
ক্যামন জানি মোচড় দেয় আজকাল

স্বচ্ছ জলে এক ফোঁটা নীল যত দ্রুত
রং ছড়ায়, ঘুণপোকা ধরা স্মৃতিরা সম
দ্রুততার সাথে তাদের স্পষ্টতা জানান দেয়

পুনশ্চ

একটা উজ্জ্বল নক্ষত্র আচমকাই জ্বলে ওঠে
অতঃপর কোন পূর্বাভাষ ছাড়াই হারায়ে যায়

পুনশ্চঃ সবে তো পথের শুরু, একটু ধীরে বন্ধু

যাদুকর

একদিন হ্যামিলিনের প্রয়োজন ফুরিয়ে আসবে
যাদুকরের

কালো কুচকুচে বাঁশীর
মায়াবী সূরে নাচবে না হবে শহরের নর্তকীরা
মাঝ রাতের শূন্যতা চিরে অভিমানি বাশীওয়ালা
হারিয়ে যাবে দূরের কোন নগরীর উদ্দেশে...
বোকা হ্যামিলিনের শহর নিরব হবে আবার
অনির্দিষ্ট কালের জন্য

শূন্যতা

Dear প্রকৃতি,
শূন্যতা তোমার ভীষণ অপছন্দ।
জানো তো, আমার মনটা খালি
পরে আছে অনেক দিন

বউমনি

কোন এক অপরিবর্তিত অবস্থানে থেকেও
তোমার স্পর্শের লোভে তেঁতে ওঠে অনুভূতিগুলো,
চূড়ান্ত কোন শিহরণে পুলকিত হতে চায় বার বার,
অসীম শূন্যতায় হাতড়ে বেড়ায় তোমার অস্তিত্ব..,
তোমার গন্ধ.., তোমার শরীর আর তোমাকে

রকেটের নিউরন

প্লাস্টিক ব্যাগে লেগে থাকা আঠালো বস্তুটার গন্ধ
রকেটের নিউরন সেলগুলোকে নিস্তেজ করে দেয়।
ক্ষণিকের জন্য হলেও জাগতিক আপেক্ষিকতার
বাইরে চলে যায় সে, ধুলো মাখা ফুটপাথ চওড়া
থেকে আরও চওড়া হয়, ক্যামন নির্ভার লাগে
নিজেকে।

রকেট জানে, এ গন্ধটার মাঝেই হারিয়ে যাবে সে,
একদিন আর ঘুম ভাঙবে না, দীর্ঘক্ষণ পরে থাকা
তার নিথর দেহটার, বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে ঠাই
হবে নিশ্চুপ হিম ঘরে।

মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৪

আবার; আর একবার

খুঁজে যাওয়া তোর মুখচ্ছবির ঘনঘটা
যখন অপরচিতার মুখ অবয়বে, ভীষণ 
অসহায় হয়ে যাই আবার; আর একবার

কোলাহল ও নিস্তব্ধতা

কিছু কোলাহল তিক্ত ভারী,
কিছু নিস্তব্ধতায় জল 

কিছু কলরব উল্লাসে হাসে,
হয়ে আঁখি ছলছল

চাঁদের আলো মুচকি হাসে,
মন উদাস হয় 

আগুনলাগা ফাগুন দুপুর,
তোমার কথা কয় 

নীল গোলাপ

তারপরও কেন জানি একটা পিছুটান, 
জমে থাকা স্তব্ধতায় ফাটল ধরায়...
শুরু হয় অবাধ্য শ্রাবণে অবিরাম ভিজে যাওয়া,
হয়তো আসক্তিতে বেহুলার বাসরের খাদ ছিল
সহসাই মনষার বিষে নীল হয়ে গেল সব কিছু। 

মাঠ জুড়ে ঝা চকচকে রোদ্দুর। বট গাছটাকে ঘিরে
আদুরে বাতাসের ছোট্ট জটলা। ওপাড়ে অন্তহীন
ভালবাসার হাতছানি, সীমান্তের এ পারে আমি।
আমার হাতে গোলাপ..., একগুচ্ছ নীল গোলাপ

পৌষ-ফাগুনের পালা

সকাল থেকেই ঢাক গুড় গুড় আকাশটা যখন 
কান্না জুড়ে দিল, তখন বেলা গড়িয়ে বিকেল। 
ছাদ খোলা রিক্সায় হিম বাতাসের ঝটিকা অভিযান
সেই সাথে তোমার-আমার উষ্ণতা ভাগা-ভাগি। 

শহর জুড়ে এখন পৌষ-ফাগুনের পালা, তাই 
হয়তো মনে পড়ে গেল পুরনো স্মৃতিটার কথা...
অবুঝ মন হিম বাতস দেখলেই উষ্ণতা খোঁজে

সব চরিত্র কাল্পনিক.

ক্ষয়ে যাওয়া কাঠপেন্সিলের অলস সময় কাটতেই চায়
না, স্বপ্নে প্রায়ই সৃষ্টি সুখের উল্লাসে তৃপ্তটা আসে তার।
ধব-ধবে সাদা ক্যানভাসে সে আর তার কারুকাজ।

হতাশার সুতোয় কাটাপরা আশার ঘুরিটার পানে বৃদ্ধ
মজনু মিয়ার শূন্য দৃষ্টি, নিস্প্রান শরীরের সমস্ত শক্তি
দিয়ে প্যাডেলে বেঁচে থাকার তাগিদ দেয় সে। বয়সের
ভারে নূজ্জ্ব রিক্সাটাও কিঞ্চিত কুকিয়ে ওঠে।
 

শনিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৪

হায় চিল

হায় চিল, সোনালি ডানার চিল, এই ভেজা মেঘের
দুপুরে তুমি আর কেঁদো নাক উড়ে উড়ে ধানসিঁড়ি
নদীটির পাশে। 

তোমার কান্নার সুরে বেতের ফলের মতো তার ম্লান 
চোখ মনে আসে। 

পৃথিবীর রাঙ্গা রাজকন্যাদের মতো সে যে চলে গেছে
রূপ নিয়ে দূরে। 

আবার তাহারে কেন ডেকে আন, কে হায় হৃদয় খুঁড়ে
বেদনা জাগাতে ভালবাসে।  

হায় চিল, সোনালি ডানার চিল, এই ভেজা মেঘের
দুপুরে তুমি আর কেঁদো নাক উড়ে উড়ে ধানসিঁড়ি
নদীটির পাশে।

-জীবনান্দ দাস 

বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৪

চুপকথা-১

কিছু কোলাহল তিক্ত ভারী,
কিছু নিস্তব্ধতায় জল

কিছু কলরব উল্লাসে হাসে,
হয়ে আঁখি ছলছল

চাঁদের আলো মুচকি হাসে,
মন উদাস হয়

আগুনলাগা ফাগুন দুপুর,
তোমার কথা কয়
 

মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৪

শিরোনামহীন

সব কথা শেষ হলে ফিরে যাবো,
একটি চোখ রেখে যাবো শিথানের জানালায় ।
সব কথা শেষ হলে করাঘাত জাগাবে তোমায়,
তুমি এসে খুলবে দুয়োর- দ্যাখা হবে না।

__________"রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ"

বুধবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১৪

প্রিয়তমেষু

প্রিয়তমেষু,
ট্রেনটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে অবেগের সীমানা পেরুতে শুরু করে,

চাপা অভিমান আর ছল ছল চোখে তুমি ওর সঙ্গি 

আমি স্থির... ,অপলক...,তুমি চলে যাচ্ছ......

তোমায় বলা হয়নি, বাস্তবতার মারপ্যাঁচে সেদিন ধরতে
পারিনি তোমার হাত, শত ইচ্ছে সত্ত্বেও ছোটা হইনি
তোমার পিছু পিছু..., তাই হয়তো শেষ দৃশ্যেটা কোন
নাটকীয়তা ছাড়াই সাবলীল

অতঃপর,
পারলাম না সবকিছুকে পর করে তোমায় আপন করতে