-মামা চা খাবেন
সূর্য স্নানের কল্যাণে অবস্থা এমনিতেই নাজেহাল অবস্থা,তার উপর চা।
না খাব না
-মামা খান, দাক্তার আফায় কইছে, গরমে চা খাইলে শইল ঠাণ্ডা হয়।
কি নাম তোর...?
-বল্টু
বল্টু নামটার অনির অনেক চেনা। শৈশবের স্মৃতি বলতে এই নামটাই মনে আছে।
বস্তির এক দাদি তার এই নাম দিয়েছিল। একদিন দাদীর জ্বর হল, তারপর চলে
গেলেন না ফেরার দেশে। তারপর কিভাবে জানি এক এতিম খানায় জায়গা হয়।
সেখানে আব্দুস সাত্তার স্যার ধর্ম ক্লাস নিতেন, তিনি বললেন বল্টু কোন নাম হল।,
আজ থেকে তোর নাম আব্দুল মতিন। কোন এক নিঃসন্তান দম্পতির ঘর আলো
করে এতিম খানাকে বিদায় বলা হয়, খুব সম্ভবত তখন ৩য় শ্রেণীতে পরত মতিন।
ব্যাপারগুলো আবছা মনে পরে। বিশাল অট্টালিকা এসে মতিনের নাম শেষ বারের
মত পরিবর্তন হয়। ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ নাম, অনিকেত চৌধুরী।
অতীতের এ বিষয়গুলোর কোনটাই তনুজা জানে না। তাকে কথাগুলো বলা দরকার
কারন ওর সাথে অনির বিয়ের কথা চলছে। অনি যদিও জানেনা তনু বিষয়টা কিভাবে
নেবে, তারপরও আজ সে তার মনের কথাটা বলবে। তবে বেশীর ভাগ মনের কথাই
গোপন কথা হয় আর গোপন কথা নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করে।
বল্টু একটু দূরে এক যুগলকে চা খাওয়ার উপকারিতা বলছে, চা খাওয়ার
ফাঁকে একটু মুচকি হাসি, হবে হয়তো কোন হাস্যকর গোপন কথা।